১৯ আগ, ২০২৪

শেখ হাসিনার অর্থ পাচারে সহায়তা করে রাশিয়া

  সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০২৪, ৪ ভাদ্র ১৪৩১বেটা ভার্সন


আজকের পত্রিকা ই-পেপার আর্কাইভ অ্যাপস


jugantor


প্রচ্ছদ


জাতীয়


অন্যান্য


শেখ হাসিনার অর্থ পাচারে সহায়তা করে রাশিয়া


 যুগান্তর ডেস্ক 


 ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৩১ এএম  |  অনলাইন সংস্করণ


1.2k


Shares


facebook sharing buttonmessenger sharing buttonwhatsapp sharing buttontwitter sharing buttonlinkedin sharing button


রাশিয়া


Advertisement




বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) লোপাট করেছেন। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধানকারী গ্লোবাল ডিফেন্স করপোরেশন।




‘আউস্টেড বাংলাদেশ’স প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা, হার সান সজীব ওয়াজেদ জয় অ্যান্ড নিস টিউলিপ সিদ্দিক এমবেজেলড ৫ বিলিয়ন ডলার্স ফ্রম ওভারপ্রাইজড ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার্স রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট থ্রো মালয়েশিয়ান ব্যাংকস’ শিরোনামে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রাশিয়ার রোসাটম মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এ অর্থ আত্মসাতের সুযোগ করে দিয়েছে। এতে মধ্যস্থতা করেছেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক।




Advertisement




এতে বলা হয়, বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। শেখ হাসিনা এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র অদূরভবিষ্যতে দেশের বিদ্যুতের ২০ শতাংশ পর্যন্ত সরবরাহ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটি ভিভিইআর ইউনিট ব্যবহার করে ২০২৪ সালের মধ্যে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি অবশ্যই বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে।




গণমাধ্যমে এমন ইতিবাচক প্রচারণার আড়ালে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন (রোসাটম) থেকে সোভিয়েত আমলের পারমাণবিক চুল্লি কেনার জন্য ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ লোপাট করেছেন শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা।




এর নির্মাণব্যয় তুলনামূলকভাবে বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। এর মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ব্যাংকে গোপনে পাঁচ বিলিয়ন ডলার সরিয়ে নিতে সহায়তা করেছে রাশিয়া। মালয়েশিয়ার ওইসব ব্যাংকে রাশিয়ার বিশেষ তহবিল থেকে এ অর্থ এসেছে।




প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পারমাণবিক খাত নিয়ে কাজ করার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। এছাড়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নকশা এবং নির্মাণকাজের দেখাশোনা করতে পারেন-এমন পেশাদার ব্যক্তিও বাংলাদেশে নেই। তবুও বাংলাদেশ রাশিয়ার সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি সই করে এবং রাশিয়াকে কোনো তত্ত্বাবধান ছাড়াই নির্মাণকাজের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দিয়ে দেয়। এর কারণ, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা পাঁচ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন। 




তবে এ প্রকল্পে উচ্চ নির্মাণব্যয় নিয়ে সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন মিডিয়ার রিপোর্ট নানা দিক থেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সুযোগ করে দিয়েছে। লোকজন এখন গোটা বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের মতো শীর্ষ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের এতে জড়িত থাকার বিষয়টি সত্যিকার অর্থেই অস্বস্তিকর। 




পুরো বিষয়ে জনগণের আগ্রহ থাকায় এটি আর বিভাগীয় তদন্তে সীমাবদ্ধ না থেকে হাইকোর্ট ডিভিশন পর্যন্ত গড়িয়েছে। তদন্ত কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এ প্রকল্পের দাপ্তরিক কার্যক্রম, ঠিকাদার অনুমোদন বা নিয়োগের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মন্ত্রণালয়ই যদি তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে না থাকে, তাহলে এর দায়িত্ব কে নেবে?’




রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার আগেই লন্ডনে শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার রোসাটমের মধ্যে বিতর্কিত মধ্যস্থতা করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। ২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় সঙ্গী ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের দাবি, তখন ঢাকা-মস্কোর বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতাও করেছিলেন তিনি। এরপর রাশিয়ার সহায়তায় তিনি বাংলাদেশের চলমান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।




অবশ্য টিউলিপ এ সেবা বিনামূল্যে দেননি! তিনি এর বিনিময়ে খালা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকেও মাসিক ভিত্তিতে সম্মানি নিয়েছেন। এর পাশাপাশি ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে টিউলিপের মা শেখ রেহানা এবং শেখ পরিবারের কিছু সদস্য রাশিয়ানদের কাছ থেকে কিক-ব্যাক (গোপনে অর্থ প্রদান) হিসাবে ৩০ শতাংশ অর্থ পেয়েছেন। এ অর্থ তখন গোপনে মালয়েশিয়ার বেশ কয়েকটি অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা হয়েছিল।




২০০৯ সালে ‘প্রচ্ছায়া লিমিটেড’ নামে একটি ভুয়া কোম্পানি চালু করেন টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা ও চাচা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক। এ কোম্পানির বিরুদ্ধে ডেস্টিনি গ্রুপ থেকেও ৯০০ মিলিয়ন ডলার যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। যুক্তরাজ্যে তারা জুমানা ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড প্রোপার্টিজ লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিও খুলেছে। 




এদিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ৬৪ মিলিয়ন ডলারের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রকল্পের ৩৩ কর্মকর্তাকে সমন পাঠিয়েছে। রোববার পাঠানো দুদকের নোটিশে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ প্রকল্পে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ওই কর্মকর্তাদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। কমিশনের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য নিশ্চিত করেছেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দুদক আগামী ৬, ৭, ১১, ১২ ও ১৩ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে।




1.2k


Shares


facebook sharing buttonmessenger sharing buttonwhatsapp sharing buttontwitter sharing buttonlinkedin sharing button


যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন




Advertisement




Jamuna Electronics & Automobiles Ltd.


Advertisement






সর্বশেষ


সর্বাধিক পঠিত


নিয়োগ


৪৯৫ উপজেলায় প্রশাসক নিয়োগ


অপসারণ


৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অপসারণ


উপজেলা


৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপসারণ


টঙ্গী


টঙ্গীতে থানাগেটে ট্রাকে রহস্যজনক আগুন


বাংলাদেশের সংবিধান


কী আছে পঞ্চদশ সংশোধনীতে


৩২৩ পৌরসভার মেয়রকে অপসারণ


৩২৩ পৌরসভার মেয়রকে অপসারণ


ইউনূস


ইউনূস সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায় পাকিস্তান


হাইকোর্ট


সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল


সব খবর




footer_logo


goole-play


Apple-Link


converter


জাতীয় আন্তর্জাতিক


রাজনীতি অর্থনীতি


সারাদেশ খেলা


বিনোদন শিক্ষাঙ্গন


লাইফ স্টাইল আইটি বিশ্ব


অটোটেক পরবাস


ইসলাম ও জীবন রাজধানী


ডাক্তার আছেন চিত্র বিচিত্র


একদিন প্রতিদিন সম্পাদকীয়


দৃষ্টিপাত বাতায়ন


স্বজন সমাবেশ প্রতিমঞ্চ


সোশ্যাল মিডিয়া সাহিত্য


দরকারি কর্পোরেট নিউজ


বিচ্ছু কোভিড-১৯


শর্তাবলী প্রাইভেসি নীতি


যোগাযোগের ঠিকানা   


সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম




প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।




পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬ 




E-mail: jugantor.mail@gmail.com




© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।


Crafted with  by The Daily Jugantor © 2024


X


New

৩০ জানু, ২০২২

সুরা আল ইখলাস পাঠে অনেক ফজিলত


সুরা আল ইখলাস মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনের ১১২ নম্বর সুরা। এর আয়াত সংখ্যা ৪। শব্দ সংখ্যা ১৫, অক্ষর ৪৭। এই সুরাতে আল্লাহ তাআলার অস্তিত্ব ও সত্তার সবচেয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা রয়েছে। এটি কোরআনের অন্যতম ছোট সুরা হিসেবেও বিবেচিত হয়ে থাকে। তবে এই সুরা কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান বলা হয়। ইখলাস অর্থ গভীর অনুরাগ, একনিষ্ঠতা, নিরেট বিশ্বাস, খাঁটি আনুগত্য। শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তাওহিদ বা

৮ জানু, ২০২২

বিস্ময় বালক’ সুবর্ণ আইজ্যাক বারীর যত কৃতি বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে কমবয়সী প্রফেসর হিসেবে

 



‘বিস্ময় বালক’ সুবর্ণ আইজ্যাক বারীর যত কৃতি

বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে কমবয়সী প্রফেসর হিসেবে খ্যাতি অর্জনকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক সুবর্ণ আইজ্যাক বারী। গণিত, রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানে নিজ দক্ষতার পাশাপাশি তার লেখা ‘দি লাভ’ গ্রন্থ এবং সন্ত্রাসবিরোধী ক্যাম্পেইনের কারণে পরিচিতি পায় সে। অনেকের প্রত্যাশা সে বড় হয়ে গড়বে নতুন ইতিহাস।

১৫ আগ, ২০২১

পড়াশোনা-নারীদের অধিকার নিয়ে মুখ খুলল তালেবান

১৯৯৬ থেকে ২০০১, আফগানিস্তানে শাসন করেছিল তালেবান। ২০ বছর পর ফের একবার সেই তালেবানের দখলে গেল আফগানিস্তান। আজ রবিবার আলোচনার পর আফগানিস্তানের বর্তমান সরকার অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।

জাতিসংঘে ড. ইউনুসের ভাষন

  জাতিসংঘে ড. ইউনুসের ভাষন